বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, চা শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯৩ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত চা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার ৭৬ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে ঢাকা-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পূর্বে দেশে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা উৎপাদনের তুলনায় কম ছিল। তখন বেশি চা উদ্বৃত্ত থাকত এবং বেশি চা রপ্তানি হতো। বর্তমানে দেশে চায়ের চাহিদা প্রায় ১০০ মিলিয়ন কেজি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য দেশে উৎপাদিত সকল চা ব্যবহৃত হয়, রপ্তানির জন্য খুব বেশি চা উদ্বৃত্ত থাকে না। চা রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুণগত মানের চা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার তথা চা বোর্ড নানান পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৮৭৯ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ১৬ হাজার ২৪২ দশমিক ০১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২৮ হাজার ১৩৭ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, বিশ্বের ২১টি দেশের ২৩টি শহরে বাংলাদেশের বাণিজ্য মিশন রয়েছে। সেগুলো হলো- ক্যানবেরা, ব্রাসেলস, বেইজিং, কুনমিং, প্যারিস, বার্লিন, নয়া দিল্লি, কলকাতা, তেহরান, টোকিও, ইয়াংগুন, কুয়ালালামপুর, মস্কো, সিউল, সিঙ্গাপুর, মাদ্রিদ, জেনেভা, দুবাই, লন্ডন, ওয়াশিংটন ডিসি ও লস এঞ্জেলস।
তিনি বলেন, নিকট ভবিষ্যতে ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায়, তুরস্কের আঙ্কারাতে, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও আফ্রিকা মহাদেশে বাণিজ্যিক উইং স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যাণ্ডে মিশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।