হন্ডুরাসে সহিংসতায় নিহত ২৪, কারফিউ জারি

মত ও পথ ডেস্ক

ছবি : ইন্টারনেট

মধ্য আমেরিকান দেশ হন্ডুরাসে সহিংসতায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় দু’টি শহরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে রাতের আঁধারে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। আর এরপরই রোববার (২৫ জুন) ওই দুই অঞ্চলে কারফিই জারি করেছে সরকার।

সোমবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

universel cardiac hospital

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হন্ডুরান সরকার দেশে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে পৃথক হামলায় ঘটনায় রাতের আঁধারে ২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পরে উত্তরাঞ্চলীয় দু’টি শহরে রোববার কারফিউ জারি করেছে।

পুলিশ প্রেস পারসন এডগার্দো বারাহোনা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর চোলোমার একটি বিলিয়ার্ডস হলে ভারী অস্ত্রধারীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ১৩ জন নিহত এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়।

এছাড়া একইদিন শনিবার শিল্পনগরী সান পেড্রো সুলেসহ উত্তরাঞ্চলীয় ভ্যালে দে সুলা অঞ্চলজুড়ে পৃথক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে আরও ১১টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রয়টার্স বলছে, ক্রমবর্ধমান এই সহিংসতার মধ্যে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো আগামী ১৫ দিন চোলোমাতে রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টার পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছেন। তার এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং সান পেড্রো সুলেতে কারফিউ কার্যকর হবে ৪ জুলাই থেকে।

জিওমারা কাস্ত্রো টুইটারে বলেছেন, ‘সহিংসতার ঘটনায় একাধিক অপারেশন, অভিযান, আটক এবং চেকপয়েন্ট স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে।’

রয়টার্স বলছে, হিংসাত্মক গ্যাং মোকাবিলার জন্য গত বছরের ডিসেম্বর থেকে হন্ডুরাসের কিছু অংশে আংশিক জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। দেশটির নিরাপত্তামন্ত্রী গুস্তাভো সানচেজ রোববার রাতে জানান, ‘অপরাধী গ্যাংয়ের সদস্যদের সন্ত্রাসী হিসাবে তালিকাভুক্ত করার’ জন্য কংগ্রেসে প্রস্তাব পাঠাবে সরকার।

এক সংবাদ সম্মেলনে হন্ডুরান এই মন্ত্রী জানান, সুলা উপত্যকায় এক হাজার অতিরিক্ত পুলিশ ও সামরিক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। বস্তুত এই অঞ্চলেই চোলোমা এবং সান পেড্রো সুলে অবস্থিত।

প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো বলেন, সরকার চোলোমায় হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে এবং গ্রেপ্তারে সাহায্য করার জন্য ৮ লাখ লেমপিরাস বা ৩২ হাজার ৭০৭ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ পুরস্কার দেবে।

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই হন্ডুরাসের একটি নারী কারাগারের ভেতর দুই পক্ষের সহিংসতায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। কারাগারের ভেতর দুই গ্যাং গ্রুপের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ বাঁধে। যার মধ্যে একটি গ্রুপ সেলের ভেতর আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এতেই প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় দু’টি শহরে সহিংসতায় আবারও বহু সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি হলো।

শেয়ার করুন