ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ছুটি শুরু হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে সোমবার (২৬ জুন) দুপুর থেকেই। তবে মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে সে চাপ আরও বেড়েছে। সড়কে যানজটের ভয়ে অনেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন। তবে ঈদযাত্রায় গত তিনদিন নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও মঙ্গলবার তা ধরে রাখতে পারেনি। এদিন সকালে কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। আর যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার ও ভোগান্তির কথা।
জানা যায়, দিনের শুরুর প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস প্রায় দুই ঘণ্টা বিলম্বে রাজশাহীর উদ্দেশে কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। নীলসাগর এক্সপ্রেসের ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে যায় সকাল ৮টা ১৭ মিনিটে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৮টা ১৫ মিনিট ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ে ৯টা ১০ মিনিটে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী সাগুফতা আফরোজ বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি,বিরক্ত লাগছে। মোটামুটি সব ট্রেনই বিলম্ব করছে। সবাই হৈচৈ করছে। ট্রেনের টয়লেট ভালো থাকলেও সেটি অপরিষ্কার ও অস্বাস্থ্যকর বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রী সোহরাব হেসেন বলেন, পরিবার নিয়ে ভোরে বাসা থেকে এসেছি। এসে দেখি প্লাটফর্মে কোনো ট্রেনই নেই। এভাবে দীর্ঘসময় পার করার পর ট্রেন এসেছে। তারপর অপরিষ্কার ট্রেনেই আমাদের উঠতে হয়েছে। পরিবার নিয়ে এমন অপেক্ষা খুবই ভোগান্তির।
নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা খুবই কষ্টের। ঈদযাত্রার প্রথম দিন দেখলাম ভালোই ছিল। আজ মঙ্গলবার এসে সব এলোমেলো হয়ে গেল। দেখলাম উত্তরবঙ্গের প্রায় সব ট্রেনই দেরিতে ছাড়ছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন বলেন, আমাদের এখান থেকে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার কোনো কারণ নেই। ট্রেনগুলো ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে আসতে বিলম্ব করছে। তাই ছাড়তেও বিলম্ব করছে।