সারাদেশেই বৃষ্টি বেড়েছে। বৃষ্টির এ প্রবণতা আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা উত্তরাঞ্চলে কম। দক্ষিণাঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। এসময়ে ঢাকায় ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘলা। এদিন রাজধানীর কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ছত্রিশগড় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে সামুদ্রিক আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।