কোরবানির পশুর চামড়া মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানে বা মাদ্রাসায় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ২৭ জুন মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আগামী ২৯ জুন মুসলিম উম্মাহ’র দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এই ঈদের একটি বড় কাজ হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কোরবানি। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর পুত্র হযরত ইসমাইলকে কোরবানি করতে গেলে (ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মতে হযরত ইসহাক) আল্লাহর সন্তুষ্টিতে তিনি দুম্বা কোরবানি দিয়েছিলেন। ইব্রাহীম (আঃ)-এর এই কাজটিকে রসুল (সাঃ) মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক করে দেন। ঈদুল আযহার সময় মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর মাংসের এক তৃতীয়াংশ গরীব মিসকিন ও স্বজনদের মাঝে বিতরণ করার বিধান রয়েছে। পশুর চামড়ার মূল্য দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করে এসব পশুর চামড়া বা মূল্য বড় ছোট মাদ্রাসাগুলো নিয়ে যায়, যেগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসী। তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গায় না, জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয় না; এমনকি জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয় না। আমরা যতটুকু জানি, মাদ্রাসা বা তথাকথিত এতিমখানায় প্রদত্ত অর্থের একটা বড় অংশই মোহতামিম-মোদাররেস নামীয় ধনাঢ্য ব্যক্তিদের পকেটে চলে যায়, যা কোনো ক্রমেই ধর্মীয় বিধান সম্মত নয়। কেননা চামড়া বা এর মূল্য দরিদ্র স্বজনদের মাঝে প্রদান করাই ধর্মীয় বিধান।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সকল ঈমানদার ও দেশপ্রেমিক মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, আপনারা ২৬ মার্চ ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যাদের ইশারায় ও নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আগুন দেওয়া, বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল ভাঙাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল সেইসব মানবরুপী মানবতাবিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানসমূহে আসন্ন কোরবানির ঈদের সময়ে কোরবানির পশুর চামড়া বা এর মূল্য দান করবেন না।