পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল ফ্রান্সে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃতীয় রাতের মতো দেশটির বিভিন্ন শহরে লক্ষ্য করা গেছে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ। এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ক্ষুব্ধ জনতাকে থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যচ্ছেন। আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্তকে বিচারের।
ফ্রান্সের জাতীয় পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) মার্সেই, লিয়ন, পাউ, টুলুস ও লিল শহরেও সহিংসতা দেখা গেছে। ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গা থামাতে মোতায়েন করা হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে বলা হয়, প্যারিসের পশ্চিমদিকে নান্তেরে এলাকায় নাহেল এম নামের ওই তরুণ গত মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামতে বলে। সে না থামলে পুলিশ খুব কাছে থেকে তাকে গুলি করে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছে। এরপর একটি গুলির শব্দ শোনা যায় ও তারপর গাড়িটি থেমে যায়।
বুকে গুলিবিদ্ধ নাহেলকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। গুলিবর্ষণকারী কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে।
ফরাসি মিডিয়ায় বলা হচ্ছে, পুলিশ প্রথমে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তরুণটি তাদের দিকেই গাড়িটি চালিয়ে দিয়ে পুলিশদের আহত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে ধারণা হয় যে প্রকৃত ঘটনা ছিল ভিন্ন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্যারিস ও অন্য আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হয়।
গাড়ি ও বাসস্টপে আগুন দেওয়া হয়, কিছু রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়, আক্রান্ত হয় পুলিশ স্টেশনও। এসময় দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
চলমান সহিংসতায় ১৭০ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮০ জনের বেশি বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ ব্যাপারে একটি সংকটকালীন বৈঠক করেছেন ও রাস্তায় সহিংসতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।