প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আজ শনিবার দলীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খবর বাসসের।
আজ প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় দুই দিনের সফরে যান। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁরা গণভবন থেকে গাড়িতে করে রওনা হয়ে তিন ঘণ্টায় পদ্মা সেতু পার হয়ে বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে কোটালীপাড়া পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে পুরো গোপালগঞ্জ বর্ণিল পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে উৎসবের আমেজে সেজেছে এবং জেলাজুড়ে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ।
প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর নিম (মারগোসল), বকুল (স্প্যানিশ চেরি) এবং আমের তিনটি কাঠ, ফল ও ভেষজ গাছের চারা রোপণ করেন।
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ নেতা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের অনুভূতি জানানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
তাঁরা শেখ হাসিনা দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও শুভেচ্ছা জানান এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে তাঁর জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান, যাতে তিনি জনগণের সেবা করতে পারেন।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ।
এরপর প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বিকেলে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে কোটালীপাড়া ত্যাগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে যোগ দেবেন। রাতেও প্রধানমন্ত্রীর টুঙ্গিপাড়ায় থাকার কথা রয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামীকাল রোববার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। রোববার বিকেলে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।