তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উৎসব-পার্বণে অন্য দেশগুলো দ্রব্যমূল্য কমায় আর আমাদের দেশের কিছু ব্যবসায়ী বাড়ায়। এটি অবশ্যই আমাদের জনগণের জন্য ভোগান্তি তৈরি করছে। যারা দ্রব্যমূল্য অযথা বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ঈদুল আজহার পর প্রথম কর্মদিবসে আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি সংস্থাগুলো এসব বিষয়ে আগের তুলনায় বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যারাই এটি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। এর আগে অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সামনের দিনেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি যাই বলুক, তাদের মূল কৌশল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং নির্বাচন ভণ্ডুলের অপচেষ্টা করা, যা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট। বিএনপি কিছুদিন পরপরই কৌশল পরিবর্তন করে। কোনো সময় তারা হাঁটা, কোনো সময় বসা কর্মসূচি দেয়। কিন্তু তাদের মূল কৌশল দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং নির্বাচন ভণ্ডুলের অপচেষ্টা।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স বেড়েছে, পাশাপাশি জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সহায়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আগেই বলা হয়েছিল যে, দ্রুতই আমাদের অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় ফিরবে। সেটির প্রতিফলন হয়েছে গত মাসে। আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে জানিয়ে ড. হাছান বলেন, এক মাসে ২০২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। একই সঙ্গে জাইকা দুই হাজার ২৭৩ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে।