ঈদের মাস জুনে চাঙ্গা হয়েছে প্রবাসী আয়। গত মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২২০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব মিলিয়ে ২০২২–২৩ অর্থবছর প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছর এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। এ হিসেবে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৫৮ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এক অর্থবছরে রেমিট্যান্সের রেকর্ড হয় ২০২০–২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছর প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান।
রেমিট্যান্সে চাঙ্গাভাবের মধ্যে ঈদের আগে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ঋণের ৫২ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে আবার ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। মাঝে যা ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে থেমে থেমে ডলারের দর বাড়াচ্ছে ব্যাংকগুলো। বর্তমানে রেমিট্যান্সে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদা ও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি রপ্তানি বিল কেনার দর ৫০ পয়সা বাড়িয়ে আজ থেকে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা কার্যকর করেছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল কেনার গড় দরের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করা হচ্ছে।
এ ছাড়া আন্তঃব্যাংকে কোনো ব্যাংক আর ১০৯ টাকার বেশি দর নেবে না। আর আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডলার কেনা ও বিক্রির একক দর বা সিঙ্গেল রেট কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। যদিও এর আগে ১ জুলাই থেকে একক দর কার্যকরের কথা বলা হয়েছিল।