ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী ‘সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজে ফের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের পরপর জাহাজে আগুন লেগে গেছে। এতে নয় পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝালকাঠি পৌরসভার খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মালিকানাধীন সাগর নন্দিনী-২ জাহাজ থেকে ডিজেল ও পেট্রোল অন্য একটি ছোট ট্যাংকারে স্থানান্তরের কাজ চলছিল। এর মধ্যেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের পর পরই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বরিশাল, ঝালকাঠি, কাউখালী ও নলছিটির চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। রাত ৯টা পর্যন্ত জাহাজটিতে আগুন জ্বলছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন।
তিনি বলেন, বাকি তেল অপসারণের সময় এতে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ঝালকাঠির পদ্মা ডিপোতে শনিবার দুপুরে প্রথম জাহাজটিতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন দগ্ধ হয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ছাড়া বিস্ফোরণের পর নদীতে ভেঙে পড়া জাহাজের পেছনের অংশ থেকে সোমবার তিনজনের এবং আগের দিন রবিবার ইঞ্জিন রুম থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল।
বিকালে জাহাজটির উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছিল। কিন্তু জাহাজের তেল খালাসের কাজ চলছিল। এর মধ্যেই সন্ধ্যায় আবার একই জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
শনিবার দুর্ঘটনার পর থেকেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান।
সাগর নন্দিনী-২ নামের এই জাহাজটি মাত্র ছয় মাস আগে ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জ্বালানি তেল নিয়ে চাঁদপুরে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে যাওয়ার পথে ভোলার তুলাতুলি কাঠিরমাথা এলাকায় ডুবে গিয়েছিল। তখন কুয়াশার মধ্যে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে ট্যাংকারটির তলা ফেটে গিয়েছিল।