ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরছেন মানুষজন

মত ও পথ ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

ঈদের ছুটি শেষে গত ২ জুলাই অফিস-আদালত খুলেছে। জীবিকার তাগিদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষেরা আবারও শহরে ফিরে আসছেন। যাদের অফিস গত রোববার ছিল, তাদের অনেকেই ঢাকায় ফিরেছেন শনিবার রাতেই। এখন ফিরছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি বাস টার্মিনালে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। আবার যেসব বাস ঢাকায় প্রবেশ করতে দেরি হয়েছে সেসব বাস যাত্রী নামিয়ে যার যার পার্কিংয়ে ফিরে যাচ্ছে।

universel cardiac hospital

মূলত দূরপাল্লার বাসগুলো রাত ১১টার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসে ঢাকার উদ্দেশ্যে। ওইসব বাসগুলো ভোর পাঁচটার পর থেকে ঢাকায় প্রবেশ করতে শুরু করে। মোটামুটি সকাল ৮টার মধ্যেই সব বাস ঢাকায় প্রবেশ করে।

মাদারগঞ্জ থেকে আসা রাজিব পরিবহনের যাত্রী আসিফুর রহমান বলেন, বাবা সরকারি চাকরি করেন। গত শনিবার রাতেই তিনি ঢাকায় ফিরেছেন। আমি, মা এবং ছোট বোনকে নিয়ে আজ ঢাকায় ফিরলাম।

সরিষাবাড়ী থেকে আসা মৌসুমি এক্সপ্রেস বাসের যাত্রী জাহিদ আহসান বলেন, গতরাতে আড়াইটায় বাসে উঠেছিলাম। চাকরিজীবীদের মতো রবিবারে কোন কাজ না থাকায় দ্রুত আসা হয়নি। তাই আজকে ঢাকায় ফিরলাম। ঈদ পার হয়ে গেল ভাড়াটা এখনও বেশি নিচ্ছে। সাধারণ সময় সরিষাবাড়ী থেকে এই বাসে ঢাকায় আসি ৩৫০ টাকায়, আজ নিয়েছে ৫০০ টাকা।

বগুড়া থেকে একতা বাসে আসা‌ শাহরিয়ার আহমেদ শুভ বলেন, ঈদের পরে চাকরিজীবীদের মতো ঢাকায় ফেরার তাড়া ছিল না। পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে আরও কয়েকটা দিন বেশি কাটিয়ে আসলাম। হয়তো ঢাকায় আবার কাজের প্রেসারে পড়ে বাড়ি যেতে ২-৩ মাস সময় লাগতে পারে।

ময়মনসিংহ থেকে এনা বাসে আসা ফাতেমা আক্তার বলেন, আমি জবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঈদের প্রায় সপ্তাহখানেক আগে বাড়ি গিয়েছিলাম, আজ ফিরলাম। সুযোগ পেলে বাড়ি যেতে পারি, তাই সব সময় বাড়ি যাওয়ার তাড়া থাকে না। পথে আসতে কোন ঝামেলা হয়নি। তেমন কোন যানজটও ছিল না। যেতে আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি।

এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে ২৯ জুন (বৃহস্পতিবার)। সেই হিসেবে বুধবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাহী আদেশে একদিন আগে মঙ্গলবার থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর বাইরে শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। সব মিলিয়ে কর্মজীবীরা ঈদে পাঁচ দিন ছুটি কাটিয়েছেন।

শেয়ার করুন