বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে কোনো বাংলাদেশিরই সহায়-সম্পত্তি, জান-মাল ও নির্বিঘ্নে চলাচলের কোনো নিরাপত্তা নেই। বিভিন্ন জনপদে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বহু মত ও পথের শেষ চিহ্নটুকু মুছে দিতে সরকার মনুষ্যত্বহীন অমানবিক পন্থায় সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠন ধ্বংস করছে। তারা আবারও ‘ভোটারশূন্য একতরফা নির্বাচন’ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
গত রোববার ভোররাতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় হলদিয়া পালং ইউনিয়নের অন্তর্গত মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ধর্ম জ্যোতি ভিক্ষুর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব এ বিবৃতি দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশ এখন নারকীয় সন্ত্রাসের বৃত্তে আবদ্ধ। জনসমর্থনহীন সরকারের একমাত্র অবলম্বনই হচ্ছে সহিংস সন্ত্রাসের আশ্রয় গ্রহণ করা। তাদের টিকে থাকার একমাত্র গ্যারান্টি হচ্ছে জনসমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভয়ের পরিবেশ বজায় রাখা। সারাদেশের মানুষ দমবন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছেন। নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশুসহ প্রতিদিনই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। রক্ত ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
তিনি বলেন, বিগত চৌদ্দ বছর ধরে জোরপূর্বক গুম, বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা, ভিন্নমত প্রকাশ ও কথা বলার স্বাধীনতাকে অদৃশ্য করার পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে মাটিচাপার মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে জলাঞ্জলি দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন ধরে রাখার জন্য রক্তাক্ত হিংসার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। দেশের অর্থনীতি লুটপাট ও পাচারের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা।
ফখরুল বলেন, শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুরসহ স্বল্প আয়ের মানুষেরা ক্ষুধার জ্বালায় কাতরাচ্ছেন। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে দলমত নির্বিশেষে সকল গণতন্ত্রকামী মানুষকে একযোগে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। জনসমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতি ফিরিয়ে আনতে দেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্মাণের জন্য সবাইকে জোরালো কণ্ঠে আওয়াজ তুলতে হবে।