প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে কথা বলেছেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমদ নওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ। ফোনালাপে উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও গভীর ও জোরদার হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস শাখার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে তার শুভেচ্ছা জানান।
দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন যে, দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক সময়ের সাথে সাথে গভীরতা ও মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টেলিফোন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমাদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে ও কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি আনন্দের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিরা এবং কুয়েত সেনাবাহিনীতে ‘বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট’ দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের উত্তরাধিকার ও শক্তিমত্তারই স্বীকৃতি।
প্রধানমন্ত্রী আল-সাবাহ আনন্দের সঙ্গে তার দেশের প্রতিরক্ষা পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিষ্ঠা ও পরিশ্রমী ভূমিকার উল্লেখ করেন। দুই দেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।
উভয় নেতা ব্যাংককে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের প্রথম দিকে পরবর্তী সাধারণ পরিষদের বৈঠকে পারস্পরিক প্রত্যাশা নিয়ে অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়া (ওসিএ) তে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পরামর্শ বা উচ্চ পর্যায়ের সফরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে দুই নেতা একে অপরকে নিজ নিজ দেশে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
দুই নেতা শুভেচ্ছা বিনিময়, পরস্পরের সুস্থ জীবন ও দুই দেশের জনগণের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে টেলিফোন আলাপ শেষ হয়।—বাসস।