উখিয়ায় গোলাগুলিতে নিহত ৫ জনই আরসার সদস্য: এপিবিএন

কক্সবাজার প্রতিনিধি

রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা। সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পাঁচজনই মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য। নিহত পাঁচজনের একজন আরসা কমান্ডার, একজন জিম্মাদার ও বাকি ব্যক্তিরা সাধারণ সদস্য। আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) বি-১৫, বি-১৬ ও বি-১৭ ব্লক এলাকায় আরসার সঙ্গে মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে তিনজন এবং উখিয়া আশ্রয়শিবিরের আইওএম হাসপাতালে নেওয়ার পর অপর দুজন মারা যান।

universel cardiac hospital

নিহত পাঁচজনই আরসার সদস্য দাবি করে ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন ও মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, গোলাগুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত তিনজনের একজন আনোয়ার ছাদেক ছিলেন বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) এইচ-৪৯ ব্লকের প্রধান জিম্মাদার। নিহত নজিবুল্লাহ ছিলেন বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১০) আরসার ক্যাম্প কমান্ডার। আর নিহত নুরুল আমিন ছিলেন মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৩) বি-১৭ ব্লকের আরসার সক্রিয় সদস্য। নিহত অপর দুজন আরসা সদস্য বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আরও অনুসন্ধান চলছে।

আরসার সঙ্গে আরএসও-এর বিরোধ দীর্ঘদিনের উল্লেখ করে ফারুক আহমেদ বলেন, আশ্রয়শিবিরের নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার এবং পূর্বশত্রুতার জেরে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে এপিবিএন একটি ওয়ান শুটারগান ও একটি গুলি উদ্ধার করেছে। পাঁচজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালানো হচ্ছে।

শেয়ার করুন