ঢাকা ওয়াসার দাশেরকান্দি পয়োশোধনাগার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। কিন্তু নির্ধারিত এলাকা থেকে পয়োবর্জ্য শোধনাগারে পৌঁছানোর পাইপলাইনই (নেটওয়ার্ক) তৈরি হয়নি। ফলে শোধনাগার থেকে কোনো রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। পরিকল্পনাহীন এমন কাজের দায় সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান এড়াতে পারেন না।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ঢাকা ওয়াসার দাশেরকান্দি পয়োশোধনাগার প্রকল্পে রাজস্ব আদায়ে ব্যর্থতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। ঢাকা ওয়াসা কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বছরখানেক আগে চালু হওয়া শোধনাগারটি ১৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ঢাকা ওয়াসা কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, দাশেরকান্দি পয়োশোধনাগার প্রকল্পের উদ্দেশ্য— রাজধানীর বেশ কিছু এলাকার পয়োবর্জ্য পরিশোধন করে বালু নদে নিষ্কাশন করা। এলাকাগুলোর মধ্যে গুলশান, বনানী, ডিওএইচএস, আফতাবনগর, বাড্ডা, মগবাজার, নিকেতন, কলাবাগান, ধানমন্ডি (একাংশ) ও হাতিরঝিল অন্যতম। কিন্তু এসব এলাকা থেকে পয়োবর্জ্য শোধনাগারে পৌঁছানোর পাইপলাইনই তৈরি হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই শোধনাগারে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এখন কেবল হাতিরঝিলের একাংশের পানি পরিশোধন করতে পারছে। এ পরিশোধিত পানি বালু নদে গিয়ে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা নোংরা পানির সঙ্গেই মিশছে। যেনতেন এ কাজে প্রতিষ্ঠানটি বছরে খরচ করছে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা।
মোজাম্মেল হক বলেন, ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৪ টাকার রাজস্বও পাচ্ছে না ঢাকা ওয়াসা। উল্টো বছরে ২০০ কোটি টাকার ওপরে খরচ হচ্ছে। শোধনাগার ও নেটওয়ার্ক নির্মাণের কাজ একসঙ্গে শুরু হলে এই বিপর্যয় হতো না। পর্দার আড়ালে প্রকল্পের যে বাস্তব চিত্র, তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়নি। এ প্রকল্পের দায় ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান এড়াতে পারেন না।