পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল দেশের ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায়’ বাধা সৃষ্টি করছে।
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ যোগ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা আভাস পেয়েছি, কেউ কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে টেকসই করার দায়িত্ব গণমাধ্যমের রয়েছে-উল্লেখ করে তিনি সাংবাদিকদের এ ধরনের অপচেষ্টার বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
মোমেন বলেন, আমাদের দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে টেকসই করতে হবে। দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মোমেন বিদেশিদের কাছে, বিশেষ করে ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের কাছে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের সমাধান চাওয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আপনারা (মিডিয়া) এ ব্যাপারে তাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন না।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার বিদেশিদের দ্বারা নির্বাচনী আলোচনার মধ্যে কোনো চাপ অনুভব করছে না।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ ধরনের সংলাপ অতীতে কোনো ফল দিয়েছে কিনা, তা তিনি জানেন না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপকে ‘অকার্যকর আলোচনা’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে এ ধরনের সংলাপ হয় না বা সরকার প্রধানদের পদত্যাগও করতে হয় না।
মোমেন বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে এবং আওয়ামী লীগ সরকার কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে কথা বলবে না। বিদেশিরা এখানে এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। আমরা স্বচ্ছ আছি। আমাদের লুকানোর কিছু নেই। সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বে একটি ‘মডেল ইলেকশন’ করতে চায়।
