প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ডিএল মেথডে ১৭ রানে পরাজয়ের পর সবাই ধরে নিয়েছিলো দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াবে টাইগাররা; কিন্তু সেই ঘুরে দাঁড়ানো আর সম্ভব হয়নি। বরং, দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বড়, আর লজ্জাজনক পরাজয় সঙ্গী হলো।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে রয়েছে হোয়াইওয়াশের লজ্জার সামনে। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ।
এই ম্যাচে কী করবে বাংলাদেশ? পরাজিত হয়ে কী ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় পড়বে, নাকি আফগানদের হারিয়ে স্বান্তনার জয় পাবে এবং লজ্জা এড়াবে? লিটন দাসের দল কী সত্যি সত্যি হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে পারবে আজ?
ঠিক দেড় বছর আগে একই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল। তখনও একটি দল ছিল হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে, অন্যটি ছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর মিশনে। তখন প্রথম দলটি ছিল বাংলাদেশ এবং দ্বিতীয় দলটি আফগানিস্তান। এবারও ঠিক একই চিত্র। তবে এবার প্রথম দল আফগানিস্তান এবং দ্বিতীয় দল বাংলাদেশ।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ ম্যাচে পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ৭ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল আফগানরা। এবার কী আফগানদের দেখানো সেই পথে হেঁটে বাংলাদেশ স্বান্তনার জয়টি খুঁজে পাবে?
এ ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাটারদেরই কাঙ্খিত ব্যাটিংটা করতে হবে। তাদেরই দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। ব্যাটাররা ঠিকমত জ্বলে উঠতে না পারলে জয় পাওয়া কঠিন হবে। লিটন, শান্ত, সাকিব, মুশফিক, আফিফ, হৃদয় কিংবা মিরাজ- এদের মধ্যে অন্তত দুই-তিনজন যদি বড় ইনিংস খেলতে পারেন, অন্যরা কিছু সাপোর্ট দিলেই বড় স্কোর গড়া সম্ভব।
কিন্তু প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে ১৬৯ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮৯ রানে অলআউট হওয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। যদিও আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি হালকা ইনজুরিতে রয়েছেন এবং শেষ ম্যাচে খেলতে পারবেন কি না সন্দেহ। ফারুকি খেলতে না পারলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য খুশির খবরই বটে।
অন্যদিকে বোলারদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এবার বাংলাদেশের বোলাররাও বলতে গেলে অনেকটাই নিষ্প্রভ। তাদেরকে মোকাবেলা করে আফগান ওপেনাররা ২৫৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে ফেলে, মোট স্কোর ৩৩০ পার করে দেয়। সুতরাং, বোলারদেরও বিষয়টা মাথায় রেখেই খেলতে নামতে হবে। তাতে যদি লজ্জা থেকে বাঁচা যায়!