ভারতের দিল্লিতে যমুনা নদীর পানি গতকাল বুধবার রাতে বেড়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে হরিয়ানা রাজ্যের হাথনিকুন্দ সেতুতে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ২০৮ দশমিক ৪৬ মিটার। এটি বিপৎসীমার চেয়ে ৩ মিটার বেশি উঁচুতে প্রবাহিত হচ্ছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাঁধ থেকে পানি নিঃসরণ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে কেন্দ্র বলেছে, বাঁধ থেকে অতিরিক্ত পানি ছাড়তে হবে। হিমাচল প্রদেশে প্রচুর বৃষ্টির কারণে বাঁধের এই অবস্থা হয়েছে। সিভিল লাইন এলাকার রিং রোড বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। কাশ্মীরি গেট আইএসবিটির সঙ্গে মজনু কা টিলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসা থেকে এই এলাকার দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার।
কেন্দ্রীয় পানি কমিশন বলছে, হরিয়ানা বাঁধ থেকে পানির প্রবাহ বেলা দুইটার পরে কমতে পারে। জনগণকে পুরান ঢাকার নিগমবোধ ঘাট শ্মশান ব্যবহার না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই এলাকার বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ১২টি দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে।
তবে গত কয়েক দিনে দিল্লিতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।