সুদানের দারফুরে একটি গণকবরে অন্তত ৮৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। গত মাসে সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস ও তাদের সহযোগীদের হাতে তারা নিহত হন। খবর এএফপির।
ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বে দেশটির সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল–বুরহান এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলোর বাহিনীর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল এই লড়াই শুরু হয়। এই সংঘর্ষের ফলে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। মারা গেছেন হাজারো মানুষ, লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। চাদের সীমান্তবর্তী দারফুরের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চলছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর ওএইচসিএইচআর জানায়, গত ১৩ থেকে ২১ জুনের মধ্যে পশ্চিম দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল–জেনিনায় তাদেরকে হত্যা করা হয় এবং আরএসএফ পরে এসব মরদেহ শহরের বাইরে কবর দিতে স্থানীয় লোকজনকে নির্দেশ দেয়। আরএসএফ মরদেহগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে উল্লেখ করে জাতিসংঘের এই দপ্তর আরও জানায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজন নারী ও সাতজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী অনারব মাসালিতের কিছু সদস্য রয়েছেন।
জাতিসংঘের হাতে ইতিমধ্যে কিছু প্রতিবেদন এসেছে, যেখানে আরব মিলিশিয়াদের লক্ষ্যবস্তু মাসালিত গোষ্ঠীর পুরুষদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এই সংঘাত ‘জাতিগত রূপ’ নিয়েছে।