কুড়িগ্রামে উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টির কারণে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ঘরে পানি ওঠায় অনেকে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন।কেউ উপায় না পেয়ে খোলা আকাশের নিচে, নৌকার মধ্যে রাত কাটাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধরলা নদী সেতু পয়েন্টে ৯ সেমি ও কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার চরমাধবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মতিয়ার হোসেন বলেন, গত চারদিন ধরে পানিবন্দি। কয়েকদিন আগে যেমন পানি হয়েছিল, তার চেয়ে এখন বেশি পানি। টিউবওয়েল তলিয়ে গেছে। চুলার অভাবে রান্না ঠিকমতো হচ্ছে না। একবেলা রান্না করে দুবেলা খাই।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গফুর বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি। অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। নৌকা, ভেলা ছাড়া চলাচলের উপায় নেই। পানিবন্দি মানুষের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত জেলার নদ-নদীতে পানি বাড়তে পারে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে সব উপজেলার ইউএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।