ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি পানাগিয়া কানালার বিরুদ্ধে দেওয়া আটকাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এ জাহাজে থাকা কয়লা খালাসে কোনো বাধা নেই।
বন্ধের দিনে শনিবার (১৫ জুলাই) সম্পূরক কার্যতালিকা তৈরি করে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি জাহাজে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনা হয়েছে, এ বিষয়টি নজরে আসায় জাতীয় স্বার্থে হাইকোর্ট আগের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এদিকে উভয়পক্ষ সমঝোতার আবেদন আদালতে দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
আদালতের এ আদেশ মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে। এসময় আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বুধবার (১২ জুলাই) ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি পানাগিয়া কানালার বিরুদ্ধে একটি মামলায় আটকাদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশের আগ পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটির এনওসি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ জাহাজের নামে দুই কোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮২ দশমিক ৬৬ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্ট বিভাগে চীনের সিসিএক্স শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. আবুল হাসানের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী আটকাদেশ দেন।
পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়।
এর আগে রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বহির্নোঙর হাড়বাড়িয়া ১১-তে ভেড়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি।