রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটির প্রধান সম্পাদকসহ দেশটির দুই নারী সাংবাদিককে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি। ওই হত্যাচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার মস্কোর একটি আদালতে সাতজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আরটির প্রধান সম্পাদকের নাম মার্গারিতা সিমোনইয়ান। তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের সমর্থক। দেশটির এক পরিচিত মুখও তিনি। হত্যাচেষ্টার খবর সামনে আসার পর রুশ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করে টেলিগ্রামে একটি পোস্ট দিয়েছেন মার্গারিতা।
অপর নারী সাংবাদিক হলেন সেনিয়া সোবচাক। তিনি টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবেও জনপ্রিয়। সোবচাক রুশ সরকারের একজন সমালোচক। ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বেশ কয়েকবার রাশিয়ার বাইরে গিয়েছেন এই সাংবাদিক।
তাস বলছে, ওই দুই সাংবাদিকের অফিস ও বাসার কাছে নজরদারি কার্যক্রম চালিয়েছিল ‘প্যারাগ্রাফ–৮৮’ নামের একটি নব্য–নাৎসি গোষ্ঠী। অপর দিকে এফএসবি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছে অস্ত্র ও নাৎসিবাদসংক্রান্ত বই পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা দুই সাংবাদিককে হত্যার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে এফএসবির বরাতে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স। স্বীকারোক্তিতে তারা বলেছেন, ইউক্রেনের হয়ে তারা এ কাজে নেমেছিলেন। সফল হলে তাদের ১৫ লাখ রুবল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে গত বছর রুশ সাংবাদিক দারিয়া দুগিনা ও সামরিক বিষয়াদি নিয়ে কাজ করা ব্লগার ভ্লাদেলেন তাতারস্কি বোমা হামলায় নিহত হন। দুজনই ইউক্রেন যুদ্ধের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছিল মস্কো। তবে কিয়েভ তা নাকচ করে বলেছিল, রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।