ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে সিসি ক্যামেরায় ভোটকক্ষ মনিটরিং করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে ইভিএমে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হলেও ব্যালট পেপারের ভোটে মনিটরিং এই প্রথম।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকেই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিলনায়তনে সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম থেকে ভোটকেন্দ্র মনিটরিং করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঢাকা-১৭ আসনের পাশাপাশি ইভিএমে অনুষ্ঠিত পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া ও যশোর জেলার বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে।
সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর এবং আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো. সায়েম উপস্থিত আছেন।
ঢাকা-১৭ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১২৪টি। সব মিলিয়ে ৮৫৩টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এই আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া বেনাপোলের ১২ কেন্দ্রে ১১৯টি সিসি ক্যামেরা এবং ভান্ডারিয়ার ৯ কেন্দ্রে ৮৬টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোট মনিটরিং করা হচ্ছে।
২০টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে এক হাজার ৫৮টি সিসি ক্যামেরায় উপ-নির্বাচন ও দুই পৌরসভা ভোট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি এবং কেন্দ্রে বাইরে আরও দুইটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে কমিশন। নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এর আগে রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, গাজীপুর, রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও ঝিনাইদহ পৌরসভা, গাইবান্ধা-৫ উপ নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হয়।