আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংলাপ ও শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের যে দাবি ও প্রত্যাশা বিএনপি করেছিল, তা হয়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে হাঁসের ডিম ও ঘোড়ার ডিম দিয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ শোভাযাত্রার আগে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ শোভাযাত্রা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল আজকে কী বলেছেন? পদযাত্রার জয়যাত্রা, বিজয়যাত্রা। আসলে, পদযাত্রার পরাজয়যাত্রা, পদযাত্রার পতনযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তত্ত্বাবধায়ক দিছে? দিছে সরকারের পদত্যাগ? শেখ হাসিনার পদত্যাগ? কী দিয়েছে? একটা হাঁসের ডিম, ঘোড়ার ডিম। মনে করছে আমেরিকানরা তত্ত্বাবধায়ক দিবে, সংলাপ করতেই হবে, এ কথা বলবে। মনে করেছিল, শেখ হাসিনার পদত্যাগ আমেরিকানরা চাইবে। চলে গেল, দিয়ে গেল বিএনপিকে একটা ঘোড়ার ডিম।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক হবে না, সংসদের বিলুপ্তি হবে না। শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। তিনিও নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালন করবেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক কেউ চায় না। বিএনপি মনে করেছে ২০০১, ২০০৬–এর মতো তাদের দলীয় সরকার আসবে। বিএনপির সে আশার গুড়ে বালি। তত্ত্বাবধায়ক আদালত মেরে ফেলেছে। আমরা কিছু করিনি। দেশের উচ্চ আদালত করেছে। ওরা তো আইন, আদালত, বিচার মানে না।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ে পড়ে কারও সঙ্গে গোলমাল করবেন না। আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে, তারা কেন গোলমাল করবে! অন্যায় করলে তা দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। আক্রমণ এলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। নিজেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য নেত্রীর পক্ষ থেকে তিনি অনুরোধ জানান।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শেষে আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে রওনা দেয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের উদ্দেশে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী সভায় সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন। সেখানে আরও বক্তব্য দেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম প্রমুখ।