প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবদুর রহমানের (৫৮) ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইব্রাহিম খলিলকে (৪৫) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে তাকে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইব্রাহিম খলিল ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। তিনি ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। গত ২৮ মে সেনবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মে সন্ধ্যায় ছাতারপাইয়া বাজারে নিজস্ব মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশাসনের নজরে এলে আবদুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান হৃদয়, কেশারপাড় গ্রামের ইয়াসিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন রাকিব ও বসন্তপুর গ্রামের জালাল আহমদের ছেলে জুনায়েদকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলায় আবদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিএনপি নেতা মো. এমরার হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইব্রাহিম খলিলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ইব্রাহিম খলিল দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। এলাকায় আসার খবরে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে চেয়ারম্যান আবদুর রহমান ও তার ছেলেসহ পাঁচজনকে এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।