মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে দীর্ঘদিন চেষ্টা করছে ইসরায়েল। আর ইহুদিবাদী ইসরায়েলিরা সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কতটা ব্যাকুল— সেটি উঠে এসেছে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের মন্তব্যে।
বুধবার (১৯ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের যৌথ বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার সময় আইজ্যাক হারজগ জানিয়েছেন, সৌদির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে ‘প্রার্থনা’ করছেন তারা।
এ ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার জন্য ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানায়। সৌদি মধ্যপ্রাচ্যের (আঞ্চলিক) ও মুসলিম বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশ। সৌদির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দিনটির জন্য আমরা প্রার্থনা করি।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক বছর ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সংযোগ স্থাপন করাতে চাইছে। তবে রিয়াদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আগে ফিলিস্তিনিদের আলাদা স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দিতে হবে, তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধান করতে হবে। তবেই তারা এ ব্যাপারে ভাববে।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে চারটি আরব দেশ— বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুদান এবং মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। যা আব্রাহাম অ্যাকোর্ড নামে পরিচিত। এরপর থেকেই সৌদির সঙ্গে একই ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করতে চাচ্ছে ইসরায়েল।
সূত্র: আল আরাবিয়া