ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশ আজ, ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি

মত ও পথ ডেস্ক

ফাইল ছবি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। ঢাকার এই তারুণ্য সমাবেশে ব্যাপক শোডাউন দেখাতে চায় বিএনপি।

ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগ মিলেই এই সমাবেশ। এরই মধ্যে সমাবেশে পুলিশের অনুমতিও মিলেছে। সমাবেশে যোগ দিতে দু’একদিন আগেই অনেকে ঢাকায় চলে এসেছেন। দলের তারুণ্যনির্ভর এই তিন সংগঠনের বাইরে বিএনপির উদীয়মান নেতাকর্মীরাও সমাবেশে উপস্থিত হবেন।

এই সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে বিএনপি ফের সরকারবিরোধী বার্তা স্পষ্ট করতে চায়। সমাবেশ থেকে বিএনপি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও জানা গেছে।

বিএনপি ও আয়োজক সংগঠনের নেতারা বলছেন, নতুন ভোটাররা গত ১৫ বছরে ভোট দিতে পারেননি। তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। অনেকে আবার চাকরি বঞ্চিত। কেউ কেউ মামলার ঘানি টানছেন। তাই এই সমাবেশে যোগদানে তাদের ব্যাপক উদ্দীপনা রয়েছে।

নতুন ভোটার আর তরুণদের কাছে টানতে জুন মাসের প্রথমদিকে বিএনপি ‘তারুণ্য সমাবেশে’র ঘোষণা দেয়। দলটির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে এই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরাম। সংগঠন তিনটির পক্ষ থেকে পরে দিনক্ষণ ও তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ জুন চট্টগ্রাম, ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল, ৯ জুলাই সিলেট ও ১৭ জুলাই খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ২২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ করছে। এরই মধ্যে ঢাকার বাইরের সব কয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেকটাই শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশের উপস্থিতি ছিল বেশ নজরকাড়া। এবার ঢাকার সমাবেশ সফলভাবে সম্পন্ন করতে চায় দলটি।

এরই মধ্যে সমাবেশের জন্য ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। দুপুরে সমাবেশের আনষ্ঠানিকতা শুরুর কথা। সমাবেশের জন্য অনুমতিও পেয়েছে দলটি। অনুমতি পেয়ে তিন সংগঠনের নেতারা মাঠে নামেন বিপুল উপস্থিতির মাধ্যমে সমাবেশ বাস্তবায়নে। ঢাকা বিভাগের সব জেলা থেকে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দলের নেতারা গতকালও দিনভর কাজ করেছেন।

শুক্রবার তারুণ্য সমাবেশের অবস্থান তুলে ধরতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

এ সময় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, বঞ্চিত তরুণদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারুণ্যের সমাবেশ। তরুণ সমাজ প্রস্তুত, জনগণের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তারা এখন মুক্তি চায়। এখন আর কোনো প্রতিবাদ নয়, সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এবার বিএনপি ঢাকাকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে ঢাকা ঘেরাও বা অবরোধ করার প্রস্ততিও রয়েছে দলটির। ঢাকার বাইরে নেতাকর্মীদেরও রাজধানীতে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করা লাগতে পারে বলে দলটি এরই মধ্যে বার্তা দিয়েছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তারুণ্যের সমাবেশ থেকে আন্দোলনের নতুন বার্তা আসবে।

শেয়ার করুন