কিডনির জটিলতায় গাম্বিয়ায় অন্তত ৭০ শিশুর মৃত্যুর জন্য ভারত থেকে আমদানি করা চারটি কফের সিরাপকে দায়ী করেছে দেশটির সরকারের গঠিত একটি টাস্কফোর্স। গত শুক্রবার টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। খবর এএফপির।
গাম্বিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমাদো লামিন সামাতেহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই সিরাপগুলো আমদানির ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে শুরু করে সবকিছুতে ত্রুটি ছিল। এমনকি পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিকেল কন্ট্রোল এজেন্সি (এমসিএ) থেকে ওষুধগুলো নিবন্ধিতও ছিল না।
এমসিএর প্রধানকে এ ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমাদো লামিন। এসব ওষুধ আমদানির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ফার্মাসিস্টকেও দোষারোপ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই ছাড়াই ওষুধ আমদানিতে অনুমোদন দিয়েছিলেন ওই ফার্মাসিস্ট।
গাম্বিয়া সরকার জানিয়েছে, অনিরাপদ ওষুধ পাঠানোর জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকার বলছে, এসব ওষুধ খেয়ে যেসব শিশু মারা গেছে, তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গাম্বিয়ায় কাশির সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর এমন কেলেঙ্কারির পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং গত বছরের অক্টোবরে সিরাপ প্রস্তুতকারক মেডেন ফার্মা বন্ধ করে দেয়।
গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও উজবেকিস্তানে কফের সিরাপ খেয়ে ৩০০ শিশুর মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অসংগতিপূর্ণ এবং ভেজাল ওষুধ নির্মূল করতে ‘তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানায়।