তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালো বাংলাদেশের বাঘিনীরা। ভারতের নিশ্চিত জেতা ম্যাচটাও জিততে দিলেন না জ্যোতিরা। ম্যাচটি টাই হয়েছে। ফলে সিরিজও হয়েছে ড্র।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ফারজানা সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৫ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৫ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
মিরপুরে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশি দলনেতা নিগার সুলতানা জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা উপহার দেন দুই ওপেনার ফারজানা হক পিংকি ও শামীমা সুলতানা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৯৩ রান। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৭৮ বলে ৫২ রানে ফেরেন শামীমা সুলতানা।
দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকেন দলনেতা নিগার সুলতানা জ্যোতি। তাকে নিয়ে দলকে ৭১ রানের জুটি উপহার দেন ওপেনার ফারজানা হক পিংকি। রিতুমনি করেন মাত্র ২ রান।
এদিকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এবার ৫৬ রানের জুটি গড়েন পিংকি। তাতেই দলীয় স্কোর দুই শ ছাড়িয়ে যায়। আর অর্ধশতক ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত ইনিংসটা শতকে রূপ দেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনি। শেষ বরে রান আউট হওয়ার আগে করেন ১০৭ রান। ১৬০ বলে খেলা ইনিংসটি সাতটি চারে সাজানো। আর ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন শবানা মোস্তারি।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ৪ রানে ওপেনার শেফালি বার্মা ও ৭ রানে ফেরেন ইয়াসতিকা বাটিয়া। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৫ রানের জুটি গড়েন দলকে জয়ের ভিত গড়েন দেন ওপেনার শ্রীমতি মান্ধানা ও হার্লেন দেউল। দুজনই অর্ধশতকের দেখা পান।
কিন্তু ৫৯ রানে মান্ধানা ও ৭৭ রানে দেউল আউট হলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। তবে শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়েননি জেমিমা রদ্রিগেজ। কিন্তু জেতাতে পারেননি দলকে। ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।