জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অনেক গান–কবিতা লিখেছেন ও গেয়েছেন। কিন্তু এগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেননি হালিম রাজ। গণভবনে পৌঁছাতে বিভিন্ন চেষ্টা করেছেন। কিছুতে কিছু না হওয়ায় গণভবনে যাওয়া–আসা আছে, এমন ব্যক্তিদের খোঁজা শুরু করেন। কিন্তু মেলাতে পারেননি। পরে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি ককটেল সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণ ঘটান। এ ঘটনায় হালিম রাজসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
আজ রোববার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে নিজের তৈরি একটি ককটেল সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণ ঘটান হালিম রাজ। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আশপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তার কাছ থেকে বেশকিছু ককটেল সদৃশ বস্তু অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শান্তুর রেস্টুরেন্টের এলাকায় দুইজন ব্যক্তিকে গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা ও ককটেল বোমা সদৃশ বস্তুসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন– ময়মনসিংহের ধুবাউড়া ঘোষগাঁও এলাকার বাহার উদ্দিনের ছেলে হালিম রাজ (২৬) ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি চর পাড়াগাছা এলাকার মৃত তোফায়েল আহমেদের ছেলে আব্দুল হালিম (৩০)। তারা বর্তমানে ঢাকা থাকেন।
তিনি জানান, হালিম রাজ পড়াশোনা করেছেন তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি ইউটিউবার। আর আব্দুল হালিম রিকশাচালক। রাজের কবিতার বই, গানের সিডি ও পেনড্রাইভ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন। বিভিন্ন সময় মানুষের কাছে তদবির করেছেন যে, আমার এইগুলো পৌঁছে দেবেন। পরে লোকমুখে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের জাদুঘরে কর্মরত আবুল কাশেম কিশোরের কথা শুনে তার শরণাপন্ন হন। কিশোর এসব পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে রাজ ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তাকে। এর মধ্যে কিশোর বছর খানেক ধরে তাকে ‘আজ না কাল’ বলে আসছেন।
ওসি পারভেজ ইসলাম আরও জানান, পরে রাজ হতাশ হয়ে ইউটিউব থেকে বোমা বানানো শিখেন। সেটা বানিয়ে কিশোর টাকা নিয়ে কাজ না করায় তিনি রেগে এই কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন। দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য রাজ এই কাজ করেছেন। গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে।