মিষ্টি খেতে তিন লাখ টাকা দাবি পুলিশ কর্মকর্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিষ্টি খাওয়ার নামে তিন লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে হাতিরঝিল থানার এসআই জাহিদ হাসানসহ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার আজাদ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।

বিচারক আশেক ইমাম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেন। এরপর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৮ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

universel cardiac hospital

বাদীপক্ষের আইনজীবী এম কাওসার আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৮ অগাস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- বাদী আজাদের সাবেক প্রেমিকা আয়শা রুবি ও তার স্বামী জসিম উদ্দিন রায়াত।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, আজাদের সঙ্গে রুবির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রুবি পরে রায়াতকে বিয়ে করলে সম্পর্ক শেষ হয়। তবে তাদের ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি রুবির কাছে ছিল। রুবি ও রায়াত এসব ছবির কথা বলে আজাদকে হুমকি-ধমকি দিতেন। আজাদ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে তারা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ ও জিডি করেন। পরে আপসের মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বলে মামলার আর্জিতে জানিয়েছেন বাদী।

গত ১০ জুলাই রুবির শাশুড়ি স্ট্রোক করেছেন বলে আজাদকে জানান রুবি ও রায়াত। তারা আজাদের সাহায্য চান। আজাদ রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়াতের সঙ্গে মগবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। সেখানে গেলে এসআই জাহিদ তাকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যান। পরে আজাদের আত্মীয়দের ফোন করে টাকা-পয়সা নিয়ে আসতে বলেন জাহিদ। রুবি ও রায়াতের ফোন থেকে এসআই জাহিদ একাধিক বার ফোন করে চাঁদা দাবি করেন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, আজাদকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করবে বলেও ভয় দেখান এসআই জাহিদ। অন্যথায় তাকে ও ওসিকে (হাতিরঝিল) ‘মিষ্টি খেতে’ ৩ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলেন। আজাদের এক আত্মীয় থানায় গেলে তাকে এক লাখ টাকা দিতে বাধ্য করেন জাহিদ।

ওই টাকার মধ্যে আজাদের মানিব্যাগে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেন এসআই জাহিদ। বাকি ৮০ হাজার টাকা এটিএম কার্ডের মাধ্যমে তুলে আনতে বাধ্য করেন। এখন এই তিন আসামি তাকে দুই লাখ টাকা দিতে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ওসি আওলাদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। থানায় গিয়ে কথা বলে জেনে জানাতে পারবেন।

শেয়ার করুন