২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনে জয় লাভ করতে চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার (২৪ জুলাই) ৮টা ৩০ মিনিটে নিজ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা এক তথ্য চিত্রের মাধ্যমে তিনি এসব কথা জানান।
তথ্যচিত্রে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের খণ্ডাংশ দেখিয়ে বলা হয়, ২০০৬ সালে ভুয়া ভোটার তালিকা করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে বিএনপি-জামাত গোষ্ঠী।
সজীব ওয়াজেদ জয় শেয়ার করা ভিডিওর ক্যাপশনে লেখেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, দুর্নীতি করে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে বিএনপি-জামায়াত জোট।
তাদের এই পাঁচ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবারই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাহিনীর প্রতি জনমনে তীব্র ঘৃণাবোধ সৃষ্টি হয়।
ভিডিও বার্তায় জানানো হয়, ক্ষমতায় থাকার সময় দেশজুড়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ, সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন ও হত্যা, চাঁদাবাজি দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে তারা। ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাহিনীর প্রতি জনমনে তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি হয়।
এ কারণে আবারও গণতন্ত্র উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভীত হয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত নেতারা।
তথ্যচিত্র অনুসারে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হতে তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে নিজস্ব সংশোধিত ভোটার তালিকা তৈরি করে।
তথ্যচিত্রে আরও দেখানো হয়, প্রতিটি উপজেলায় দলীয় ক্যাডারদের নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় বিএনপি জামায়াত গোষ্ঠী। পরীক্ষা ছাড়া সরাসরি তালিকার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করে খালেদা জিয়া সরকার।
সংবিধানের তোয়াক্কা না করে ৩০০ ছাত্রদল ক্যাডারকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে বিএনপি জামায়াতের নিয়োগ প্রদানের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় দেশ জুড়ে। এ বিষয় সে সময়কার বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের খণ্ড দেখানো হয় তথ্যচিত্রে।