শনি থেকে রোববার— মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনীয় সেনা বাহিনীর ৩৫টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে দেশটিতে সামরিক অভিযান পরিচালনারত রুশ বাহিনী। এই ট্যাংকগুলোর মধ্যে ১৫টি জার্মানির লিওপার্ড এবং ২০ যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যাডলি ট্যাংক।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রোববার সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন। পুতিন বলেছেন, এটি একদিনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সর্বোচ্চ ট্যাংক ধ্বংসের রেকর্ড।
লুকাশেঙ্কোকে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনীর এখন আর নিজেদের কোনো অস্ত্রশস্ত্র নেই। সহায়তার অস্ত্র দিয়েই তারা যুদ্ধ করছে। আমি যদ্দুর জানি, এর আগে কখনও আমরা একদিনে শত্রুপক্ষের এতগুলো ট্যাংক ধ্বংস করতে পারিনি।’
পুতিন আরও বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া কাউন্টার অফেন্সিভ সিস্টেম বাস্তবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কোনো কাজে আসেনি। বরং এই সিস্টেমের ওপর অতি নির্ভরতার কারণে জুনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৬ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা।’
সেই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, বিদেশি যেসব স্বেচ্ছাসেবী সেনা ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধে নেমে মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুর কারণ মূলত ‘নির্বুদ্ধিতা’।
প্রসঙ্গত, শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, ইউক্রেনের ঝাপোরোজ্জিয়া প্রদেশে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সমরাস্ত্র সজ্জিত ৪টি ব্র্যাডলি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে। তারপরের দিন রোববার পুতিনের এই বক্তব্য প্রকাশিত হলো।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধের শুরু থেকে সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত যত ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা, সেগুলোর ২০ শতাংশেরও বেশি ইতোমধ্যে ধ্বংস করেছে রুশ সেনারা।