রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী ইউরোপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলার অনুমতি চেয়েছে। এ তথ্য দিয়েছে বেলারুশ সরকার। খবর আল-জাজিরা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী ইউরোপে যাওয়ার (হামলার) অনুমতি চেয়েছে।
তারা ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয় দেশ পোল্যান্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরেও বেড়াতে (আক্রমণ করতে) যেতে চায়। এসব শহরের মধ্যে দেশটির রাজধানী ওয়ারশ ও রজেসজো শহর আছে। এসব বিষয়ে তারা আমার অনুমতি চায়।
এ প্রসঙ্গে পুতিন কোনো মন্তব্য না করে হেসেছেন বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।
এরপর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট জানান, তবে অবশ্যই ওয়াগনার বাহিনীকে আমি বেলারুশেই রাখব। এ বিষয়টিতে আমি ও পুতিন একমত হয়েছি।
লুকাশেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা মধ্য বেলারুশে অবস্থান করছে। ’ এর আগে এ বিদ্রোহী সেনা দলকে নিয়ে সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদেরকে এ দেশটিতে আসার অনুমতি দেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছি। তবে তারা এখন ইউরোপে যাওয়ার (হামলার) জন্য মরিয়া। তারা খুব খারাপ মেজাজে রয়েছে।
ওয়াগনারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেলারুশের দু’টি সূত্র জানিয়েছে, ওয়াগনারের অসংখ্য সেনা গত ১১ জুলাই থেকে বেলারুশে অবস্থান করছে। এসব সেনা বেলারুশের সৈন্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ওয়াগনার গত মাসে মস্কোর বিরুদ্ধে একটি স্বল্প-কালীন সামরিক অভ্যুত্থান করে। ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন দাবি করেন, তার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ জানাতে তিনি অভ্যুত্থান করেছেন।
ওই অবস্থায় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রিগোজিনের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে ফেলার কাজে মধ্যস্থতা করেন।
তিন পক্ষের মধ্যে অর্জিত সমঝোতা অনুযায়ী ওয়াগনার বাহিনী তাদের অভ্যুত্থানের অবসান ঘটায়। এরপর ওয়াগনারের হাজার হাজার সদস্যকে বেলারুশে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় এবং প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে আনীত ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়। ওয়াগনার প্রধানের দাবি, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উৎখাতের কোনো পরিকল্পনা তার ছিল না।