নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে ‘ইন্ডিয়া’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর অনাস্থা প্রস্তাব আনছে দেশটির নবগঠিত ২৬ দলের জোট ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া)। জাতিবিদ্বেষের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া মণিপুর নিয়ে আলোচনায় মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই এই পথে হাঁটছে ‘ইন্ডিয়া’।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সংসদ-সদস্য রাঘব চাড্ডা। প্রায় ২০ বছর পর লোকসভায় কোনো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধী পক্ষ।

universel cardiac hospital

এর আগে, ২০০৩ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে শেষবার অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

এদিন সকালে সংসদে নিজেদের পরবর্তী কৌশল আলোচনায় বিরোধী দলগুলোর সংসদীয় নেতারা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সভাপতি মলি­কার্জুন খাড়গের কার্যালয়ে এক বৈঠক করেন। সেখানেই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, প্রমোদ তিওয়ারি, আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমুখ।

বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের সবকটি দলই একমত হয়েছে। দাঙ্গাবিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কীভাবে কথা বলতে বাধ্য করা যায়-সেই বিষয়ে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় বিরোধীরা।

তারা মনে করছেন, এই বিষয়ে সরকারকে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করার জন্য এটিই একমাত্র কার্যকর উপায়। শুধু লোকসভাতেই নয়, মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যসভার বিজেপি সরকারকে কীভাবে কোণঠাসা করা যায়, তারও কৌশল নির্ধারণ করছে বিরোধী দলগুলো।
কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বিশদ আলোচনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করেছে। ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। তারপর থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উত্তাল হয়েছে বিরোধীদের প্রতিবাদ এবং স্লোগানে।

শেয়ার করুন