মাঠের খেলায় দারুণ এক সিরিজই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের নারী ক্রিকেট। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা নিয়ে শেষ ম্যাচ টাই করার মত দারুণ ঘটনার জন্ম দিয়েছে এবারের সিরিজটি। তবে মাঠের খেলার বাইরে আলোচনার বড় নাম ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে চূড়ান্ত পর্যায়ের অপেশাদার আচরণ করেছেন ভারতীয় নারী দলের অধিনায়ক। আগেই জানা হয়েছিল, ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা এবং ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পাচ্ছেন তিনি। আর এবার নিশ্চিত হলো, আচরণবিধি ভঙের দায়ে দুই ম্যাচের জন্য বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন হারমানপ্রীত।
বাংলাদেশের সাথে গত ২২ জুলাইয়ের ম্যাচে দুটি আচরণবিধি ভেঙেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। প্রথমত, আউট হওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙেন তিনি। সেইসঙ্গে আম্পায়ারকে কিছু একটা বলতে বলতে ছেড়ে যান মাঠ। আর খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ওই ম্যাচের আম্পায়ারিংকে ‘প্যাথেটিক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শুধু এখানেই থামেননি হারমানপ্রীত। ম্যাচ পরবর্তী সময়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফরে আসার আগে বাজে আম্পায়ারিং সামলানোর প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে। এটি আইসিসির আচরণবিধির লেভেল–২ পর্যায়ের অপরাধ। এর আগে কোনো নারী ক্রিকেটারই এই পর্যায়ের অপরাধ করেননি।
আউটের পর স্টাম্প ভাঙার কারণে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে তাকে। আর আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করায় ২৫ শতাংশ জরিমানা ও ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে তার নামের পাশে।
আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, ২৪ মাস সময়ের মধ্যে কোনো খেলোয়াড় চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে দুটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট যোগ হবে। এর ফলে পরবর্তী একটি টেস্ট কিংবা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিষিদ্ধ হবেন অভিযুক্ত খেলোয়াড়। হারমানপ্রীতের জন্যেও থাকছে এই নিয়ম। যার ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান গেমসের দুটি ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়াই খেলতে হবে ভারতীয়দের।
এদিকে বাংলাদেশের নারী দলের বিপক্ষে হারমানপ্রীতের এমন আচরণ ভারতের জন্য বদনাম বয়ে এনেছে বলে মনে করেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক ক্রিকেটার মদন লাল। টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে হারমানপ্রীতের আচরণ ছিল জঘন্য। সে খেলাটার চেয়ে বড় নয়। সে ভারতীয় ক্রিকেটের বদনাম করেছে। বিসিসিআইর উচিত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।’