রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট সরাসরি খারিজ হয়েছিল। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তার ভাই। এই আপিল আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে জাহাঙ্গীরের ভাই সোহরাবের করা রিটের শুনানি শেষে গত ১৭ জুলাই হাইকোর্ট সেটি খারিজ করে আদেশ দেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ১৭ জুলাই ওই আদেশ দেন। ওই রিট খারিজ করে দেওয়ার বিষয়ে তাহের হত্যা মামলায় আসামি জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়। আপিল আবেদনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত চাওয়া হয়েছিল।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এ আবেদন দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামী।
১৭ জুলাই মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করেন হাইকোর্ট। সেদিন আদালত বলেন, আপিল বিভাগ আসামিদের রিভিউ খারিজ করে দিয়েছেন। এ মুহূর্তে এ রিট শোনার সুযোগ নেই।
ড. এস তাহের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ছিলেন তাহেরের সহকর্মী একই বিভাগের শিক্ষক ও সহযোগী অধ্যাপক। তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার ছিলেন জাহাঙ্গীর।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবি শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টারের বাসা থেকে নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের। পরদিন বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।