আগামীকাল রোববার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জরুরি এই সভায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আবার শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চুপ করে থাকতে পারেন না। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করব। নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকব। অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক জিয়া প্রতিনিয়ত আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করছেন। প্রতিনিয়ত আদালত অবমানা করছেন। প্রকাশ্যে বলেন—আন্দোলন করো, টাকার অভাব হবে না! তারেক কি আইনের ঊর্ধ্বে? তাদের কথা শুনলে মনে হয়, তারা আইন মানেন না। আইন নিয়ে কটাক্ষ করেন।
বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে মাতুয়াইলে ১২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এরপর তাদের (বিএনপি) নেতাকর্মীরা চারটি বাসে আগুন দেয়। তিশা পরিবহন, শ্রাবণ পরিবহন, স্বদেশ পরিবহনের বাস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়াও বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে থাকা পুলিশ ভ্যানে হামলা করে ভাংচুর চালান। তারা বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ভাংচুর করেন। রাস্তার পাশে থাকা অনেক গাড়িতে হামলা করেন। ওয়েলকাম পরিবহন নামের একটা বাসে শুধু হামলাই করেননি, অগ্নিসন্ত্রাসও করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, সদরঘাটে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া তুরাগ পরিবহনের একটি বাস…রাজধানীতে মোট সাতটি বাসে তারা হামলা চালান, ভাঙচুর করেন। অগ্নিসংযোগ করেন।
গাবতলী, উত্তরা ও ধোলাইখালসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় সূত্রাপুর থানা–পুলিশের উপপরিদর্শক নাঈম গুরুতর আহত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জে অবস্থান কর্মসূচি থেকেও তারা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা আহত হয়েছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।