রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। রপ্তানিকারকদের প্রতি ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হবে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। এতদিন যা ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। আর রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০৯ টাকা। এ ছাড়া আমদানিতে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আগে যা ছিল ১০৯ টাকা।
আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
এর আগে সোমবার (৩১ জুলাই) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় ডলারের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
বৈঠক প্রসঙ্গে এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন জানান, এবিবি ও বাফেদা যৌথ সভায় রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম এক টাকা ও রেমিট্যান্সে ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। আগস্ট থেকে রপ্তানির বিপরীতে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দেবে ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাবেন ১০৯ টাকা।
ব্যাংকারদের এ নেতা জানান, ধীরে ধীরে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের রেট এক করার জন্য কাজ করছি। এর মাধ্যমে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ডলার রেটের পার্থক্য ৫০ পয়সায় আনা হয়েছে। এতে করে রপ্তানিকারকরা আরও উৎসাহিত হবেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এরপর থেকে এই দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হয়েছে ১০৯ টাকায়। এটা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বিনিময় হার।
এদিকে সোমবার কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলারের দাম ছিল ১১১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১২ টাকা।