বৃষ্টিতেও শেষ রক্ষা হলো না অস্ট্রেলিয়ার। ইংলিশ বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে অলআউট হতেই হলো তাদের। যার ফলে প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হলো ৪৯ রানের ব্যবধানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৩৪ রানে অলআউট করেছে ইংলিশ বোলাররা। সে সঙ্গে অসিদের হারিয়ে অ্যাশেজে সমতা দিয়েই শেষ করলো বেন স্টোকসের দল। যদিও অ্যাশেজ ট্রফি রয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার দখলেই। কারণ, ডিফেন্ডিং সিরিজ বিজয়ী হিসেবে পরের সিরিজ ড্র হলে আগের বিজয়ী দলই অ্যাশেজ ট্রফির মালিক থেকে যায়। আগের অ্যাশেজের বিজয়ী দল ছিল অস্ট্রেলিয়াই।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে এখন আফসোসই করতে হবে শুধু। কারণ, ম্যানচেস্টারে দুর্ভাগ্যের কারণে তারা জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়নি। ওই টেস্টে নিশ্চিত জয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু বৃষ্টির কারণে প্রায় দুইদিন খেলা মাঠে গড়াতে পারেনি। যার ফলে টেস্ট ড্র হয়ে যায়।
ম্যানচেস্টারে জিতলে এবারের অ্যাশেজ বিজয়ী হতো ইংল্যান্ডই। প্রথম দুই টেস্টে জয় পেয়েছিলো অস্ট্রেলিয়াই। ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো ইংল্যান্ড। লিডসে জয়ের পর বেন স্টোকস ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাদের জয়ের মাত্র শুরু।
ম্যানচেস্টারে না পারলেও দ্য ওভালে জয় তুলে নিয়ে নিজের কথা রাখলেন ইংলিশ অধিনায়ক। যদিও ওভালেও বৃষ্টি চোখ রাঙিয়েছিলো। চতুর্থ দিন তো অর্ধেকের বেশি খেলাই হয়নি। পঞ্চম দিনও বৃষ্টির কবলে পড়ে ম্যাচ। তা সত্ত্বেও নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেনি প্যাট কামিন্সরা।
ডেভিড ওয়ার্নারের ৬০, উসমান খাজার ৭২, স্টিভেন স্মিথের ৫৪ রানের ওপর ভর করে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করতে পারলেও ক্রিস ওকস, মইন আলি এবং স্টুয়ার্ট ব্রডদের তোপের মুখে অলআউট হয়ে যেতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। জীবনের শেষ টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রড নিলেন ২ উইকেট। ক্রিস ওকস নেন ৪ উইকেট, মইন আলি নেন ৩ উইকেট। মার্ক উড নেন ১ উইকেট।
পঞ্চম দিনের খেলা যথা সময়েই শুরু হয়েছিলো। প্রথম সেশন মোটামুটি ভালোভাবে শেষ করতে পারলেও দ্বিতীয় সেশন পুরোপুরি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তৃতীয় সেশনেও কিছুক্ষণ খেলা হয়নি মাঠ ভেজা থাকার কারণে। শেষ পর্যন্ত খেলা শুরু হতে না হতেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের বারোটা বাজাতে শুরু করেন ইংলিশ বোলাররা।
যেটুকু সুযোগ পেয়েছে, সেটাকেই ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন বেন স্টোকসের দল। টপ অর্ডারের ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়তে পারলেও তারা আউট হয়ে গেলে আরও কেউ ঠিকভাবে দাঁড়াতেই পারেনি। স্টিভেন স্মিথ এবং ট্রাভিস হেড পঞ্চম দিন কিছুটা ভুগিয়েছিলো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু স্মিথকে ৫৪ রানে ক্রিস ওকস এবং ট্রাভিস হেডকে ৪৩ রানে মইন আলি ফিরিয়ে দিলেই ভেঙে যায় ইংলিশদের প্রতিরোধ। অ্যালেক্স ক্যারে করেন ২৮ রান।