২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার ষড়যন্ত্র, এক সাক্ষীর সঙ্গে কারসাজি এবং নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রসহ চারটি অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প ফের দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি এই মামলাটিকে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ইতোমধ্যেই তিনি আরও দুটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। সরকারি নথিপত্রে অব্যবস্থাপনা এবং একজন পর্ন তারকাকে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগ আনা হয় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৫ পাতার ওই অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরও তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দুই মাসের বেশি সময় পর তিনি দাবি করেছিলেন যে, নির্বাচনের ফলাফলে জালিয়াতি করা হয়েছে এবং নির্বাচনে তিনিই জিতেছেন। কিন্তু এমনটা ঘটেনি। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন।
তবে এত কিছুর পরেও ২০২৪ সালের পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। অভিযুক্ত হওয়ার আগে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য আপনাদের প্রিয় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা অভিযোগ আনবেন জ্যাক স্মিথ।
ওই পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তারা এটা আড়াই বছর আগেই কেনো করল না? এতদিন অপেক্ষা করার কারণ কী? তার মানে নির্বাচন ঘিরে আমার প্রচারণার মধ্যেই তারা এটা করতে চেয়েছে। ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে এমন অভিযোগ আনার বিষয়টিকে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করছেন।