প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর জেলা স্কুল মাঠের দলীয় বিভাগীয় সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছেন। অধীর আগ্রহে তারা অপেক্ষা করছেন প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর রংপুরের উন্নয়নে কী ঘোষণা দেন, তা জানার জন্য। প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানোর আগে রংপুরের স্থানীয় নেতারা সমাবেশ মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিছু দাবিদাওয়া উপস্থাপন করেছেন।
এসব দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- হচ্ছে রংপুরে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, কুড়িগ্রামের রৌমারী-চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে সেতু নির্মাণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, রংপুর-বগুড়া- সিরাজগঞ্জ রেলপথ স্থাপন করা। এ সময় নেতাকর্মীরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কথা বলেন। বদরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উত্তম কুমার সাহা বলেন, বদরগঞ্জ পৌরসভায় বিকল্প সড়ক না থাকায় রংপুর থেকে বদরগঞ্জ হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুর যাওয়া-আসা করতে হয়। এ জন্য বদরগঞ্জ পৌরসভার অংশে যানজট হয়। ফলে মানুষকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিভাগীয় শহর রংপুরের উন্নয়নে নেতারা রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার কথা বলেন। নগরীর যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার নির্মাণ, নগরীর পাশ দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণ, রংপুর থেকে দিবাকালীন তিনটি আন্তনগর ট্রেন চালু, শ্যামা সুন্দরী খাল খননে প্রকল্প গ্রহণ ও নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়ার দাবি জানান তারা।
নেতাকর্মীরা আরও বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জের ভেন্ডাবাড়ীকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর সড়কের বদরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর ও লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালু করতে হবে।
সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা বলেন, মোগলহাট শুল্ক ও স্থলবন্দর স্থাপন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল অনেক আগে। এর বাস্তবায়ন করতে হবে। বন্ধ থাকা মোগলহাট রেলস্টেশন চালু ও গীতালদহের সঙ্গে রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে হবে। এ ছাড়া লালমনিরহাট রেল বিভাগীয় সব রেল রুট ডুয়েলগেজে রূপান্তরিত করতে হবে। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ তিস্তা রেলসেতুর বিপরীতে ডুয়েলগেজ সুবিধাসহ নতুন তিস্তা রেলসেতু নির্মাণ ও করিডর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার দাবি জানান তিনি।
লালমনিরহাট থেকে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে এসেছেন শিক্ষক সহির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের বিমানবন্দরটা সরকার চালু করুক। আমরা থাকি দেশের উত্তর প্রান্তে। আকাশপথে দ্রুত যোগাযোগ সুবিধা আমরা পাচ্ছি না। বিমানবন্দর চালু হলে লালমনিরহাটবাসী প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।