পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত ও গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বলেছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন নিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ‘প্রচণ্ড ভীত’ হয়ে পড়েছে। ইমরানকে আজ শনিবার একটি দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতে এ রায় ঘোষণার কিছু পরই তাকে লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। খবর বিবিসির।
তবে ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর দুইদিন আগে বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, পাকিস্তান ‘অঘোষিত সামরিক আইনে’ চলছে এবং অভিযোগ করেন যে ‘ফ্যাসিবাদীরা’ একে ‘অন্ধকার যুগের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ‘দুর্ভাগ্যবশত ফ্যাসিস্টরা দেশটা দখল করে নিয়েছে, একইসঙ্গে তারা নির্বাচনের ভয়ে ভীত। আমি ভুগছি, কারণ তারা জানে যে নির্বাচনে আমরা জয়ী হব। এই কারণেই তারা গণতন্ত্রকে টুকরো টুকরো করে ফেলছে।
হার্ডটক উপস্থাপক স্টিফেন স্যাকার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক শীতল হওয়ার পর থেকেই কি রাজনীতিতে ‘সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ’ নিয়ে তার সমালোচনা শুরু হয়েছে? অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান বলেন, তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পাকিস্তানের একমাত্র দল যেটি সামরিক একনায়কদের দ্বারা তৈরি হয়নি। এ কারণেই দলটি ভেঙে দিতে তারা তৎপর হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
লাহোর থেকে বিবিসি’র সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, সত্যি হলো যে, দেশ একটি বড় বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। আমার মনে হচ্ছে, আমরা অন্ধকার যুগের দিকে যাচ্ছি। পাকিস্তানের একমাত্র সমাধান হলো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এটিই এই বিশৃঙ্গখলা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়।