পাকিস্তান ‘অঘোষিত সামরিক আইনে’ চলছে: ইমরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে একটি দুর্নীতির মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার আদালতে এ রায় ঘোষণার পর ইমরান খানকে তার লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।

ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর একদিন আগেই বিবিসির হার্ডটক অনুষ্ঠানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ‘অঘোষিত সামরিক আইনে’ চলছে। সেইসঙ্গে আরও অভিযোগ করেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা’ একে ‘অন্ধকার যুগের’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বিবিসিকে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ফ্যাসিস্টরা দেশটা দখল করে নিয়েছে, একইসঙ্গে তারা নির্বাচনের ভয়ে ভীত। আমি ভুগছি কারণ তারা জানে যে নির্বাচনে আমরা জয়ী হব। আর এই কারণেই তারা গণতন্ত্রকে টুকরো টুকরো করে ফেলছে।

ইমরান খান ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর চার বছরেরও কম সময় ক্ষমতায় ছিলেন। সংসদীয় অনাস্থা ভোটে গত বছর তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

সেনাবাহিনীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনাকারীদের আশা ছিল তাকে (ইমরান খান) ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর তার দল দুর্বল হয়ে যাবে। কিন্তু উল্টো দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তারা সব ধরনের চেষ্টা করেছে। নারী বিক্ষোভকারীসহ তারা দশ হাজার মানুষকে জেলে ঢুকিয়েছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যায় মদদ দেওয়াসহ প্রায় ২০০টি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে।

বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় ইমরান খান বলেন, সামরিক ভবনগুলোতে হামলার ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। একইসঙ্গে এই মামলাগুলো আলাদাভাবে তদন্ত করা দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় ইমরান খান সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে বলেন, পাকিস্তানের একমাত্র সমাধান হল অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এটিই এই বিশৃঙ্খলা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়। সত্যি হল যে দেশ একটি বড় বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। আমার মনে হচ্ছে আমরা অন্ধকার যুগের দিকে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন