পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাদণ্ড ও তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ওয়াশিংটন পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ইমরানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়ে পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের করা ই–মেইলের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ মন্তব্য করেছে। খবর রয়টার্স ও জিও নিউজের।
রাষ্ট্রীয় উপহার (তোশাখানা) কেনাবেচা–সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় গতকাল শনিবার ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত। আদালতে সাজা ঘোষণার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তিনি কারাগারে আছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ইমরান খান ও পাকিস্তানের অন্য রাজনীতিকদের গ্রেপ্তার দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র এ আহ্বান জানিয়ে থাকে।
গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হন ইমরান খান। এরপর তিনি একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, তার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে ই–মেইলের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইমরান খানের এমন অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেছে। এদিকে ইমরানের কারাদণ্ড ও তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত থাকার পক্ষে।