বছরখানেক আগেই হার্দিক পান্ডিয়া বলেছিলেন, ভারতের তৃতীয় সারির দলের পক্ষেও বিশ্ব ক্রিকেটে ভালো কিছু করা সম্ভব। কিন্তু, অধিনায়ক হয়ে আসার পর সেই পান্ডিয়াই চেয়ে চেয়ে দেখলেন দলের বিপর্যয়। টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রীতিমত গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। সেই দলটিই কিনা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হারিয়ে দিচ্ছে ভারতকে।
রোববার রাতে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে দেখা গেক অন্য এক ভারতকে। এগিয়ে থাকা ম্যাচটায় যারা শেষের চাপে হারলো ২ উইকেটের ব্যবধানে। আইপিএল খেলে আসা একঝাঁক পরীক্ষিত তরুণরা আরও একবার ব্যর্থ হলেন ভারতকে জয় এনে দিতে।
অথচ ১৫৩ রানের টার্গেটে শুরুটা মোটেই ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ইনিংসের প্রথম বলেই পান্ডিয়ার বলে সূর্যকুমার যাদবের অবিশ্বাস্য ক্যাচের শিকার হলেন ব্রেন্ডন কিং। ৩ বল পরেই আবারো উইকেটের পতন। এবার আউট হলেন জনসন চার্লস। ক্যাচটা নিয়েছেন তিলক বর্মা।
অবশ্য অন্যপাশে তখনই দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন নিকোলাস পুরান। পান্ডিয়াকে বাউন্ডারি মেরে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন। তবে চতুর্থ ওভারেই আবার উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। এবার আর্শদীপ সিংয়ের বলে এলবিডব্লিউ হন কাইল মায়ার্স।
৩২ রানে ৩ উইকেট হারাবার পরেই শুরু হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফেরার লড়াই। রোভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৭ রান জুটি করেন পুরান। ৮৯ রানে পান্ডিয়ার তৃতীয় শিকার হয়ে পাওয়েল ফিরে গেলে আসেন শিমরন হেটমায়ার। তাকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৭ রানের জুটি পুরানের। দলীয় ১২৬ রান আর ব্যক্তিগত ৬৭ রানে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক।
ম্যাচ তখন স্বাগতিকদের হাতে। ৬ ওভারে দরকার ২৭ রান, হাতে ৫ উইকেট। কিন্তু এরপরেই শুরু নাটকের। হেটমায়ারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট রোমারিও শেফার্ড। যুজবেন্দ্র চাহালের সেই ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরও দুই উইকেটের পতন। চতুর্থ বলে জেসন হোল্ডারকে স্টাম্পিং আর শেষ বলে এলবিডব্লিউ শিমরন হেটমায়ার।
জয়ের জন্য স্বাগতিকদের শেষ ১২ বলে দরকার ১২ রান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন জোসেফ। আর চতুর্থ বলে চার মেরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিতিয়ে দিলেন আকিল হোসাইন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি ভারতও। শুরুতে উইকেট হারিয়েছিল ভারতও। চতুর্থ ওভারের মাঝেই দুই উইকেট পতন সফরকারীদের। তবে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন তিলক বর্মা। নিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই পেয়েছেন অর্ধশতক। তৃতীয় উইকেটে ৩৬ বলে ৪২ রান যোগ করেন তিলক এবং ঈশান কিষান। কিষান ফেরেন ২৩ বলে ২৭ রান করে। আর ছয়ে নামা অধিনায়ক পান্ডিয়া করেছেন ১৮ বলে ২৪।
শেষ দুই ওভারে ২৩ রান যোগ করে ভারতের টেলএন্ডাররা। তাতেই ১৫২ রানের মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারীরা। যদিও শেষ পর্যন্ত তা ম্যাচ জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।