অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকা ডুবে চার জন মারা গেছেন। এই ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও ৫১ জন।
তিউনিসিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সোমবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়ার কেরকেনাহ দ্বীপের উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে অন্তত চার জন অভিবাসী মারা গেছেন এবং আরও ৫১ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলে দেশটির বিচার বিভাগীয় এক কর্মকর্তা রোববার রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে থাকা সকল অভিবাসীই সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, তিউনিসিয়ার উপকূলে অসংখ্য মানুষ সমুদ্রে ডুবে গেছে। একইসঙ্গে তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাওয়ার চেষ্টাও অনেক বেড়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাজার হাজার মানুষ বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।
মূলত যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক তিউনিসিয়া সেসব অভিবাসীদের জন্য একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আর বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও।
গত জুলাই মাসে তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত দেশটি তার উপকূলে ডুবে যাওয়া অভিবাসীদের ৯০১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
রয়টার্স বলছে, সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর বহু মানুষ দারিদ্য ও সংঘাতময় জীবন থেকে পালিয়ে ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাদের এই কাজে লিবিয়াকে ছাপিয়ে তিউনিসিয়ার উপকূলরেখা অভিবাসীদের কাছে প্রধান এক্সিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।