বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, যারা মানুষ হত্যা করে, যারা নিরপরাধ শিশু ও মহিলাদেরকে হত্যা করে, তারা কখনোই ভালো মানুষ হতে পারে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল মানুষকে খুবই নির্মমভাবে হত্যা করেছে তারা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য মানুষ।
আজ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বিজয়নগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আপনার আমার দোয়া নিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ক্ষমতায় এসেই নারীদের ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আর এরজন্য সর্বপ্রথম তিনি সরকারি দাপ্তরিক কাজে পিতার নামের সঙ্গে মায়ের নাম লেখার রীতি চালু করেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারী জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নতুন আইন চালু করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নিরন্তর সহযোগিতা পেয়েছেন। জাতির পিতার জেল জীবনে পুরো সংসার বঙ্গমাতা একা টেনেছেন, সন্তানদেরকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেন। একাত্তর সালে যুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গমাতা তার দুই সন্তান শেখ কামাল ও শেখ জামালের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। এই হলো তাঁর দেশপ্রেম।