‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল একটা বেড়াল!’ ঠিক যেন সুকুমার রায়ের ‘হযবরল’! আজ বুধবার ভারতের লোকসভায় মণিপুর নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছিল, সেখান থেকে নজরটা ধাঁ করে ঘুরে গেল ‘উড়ন্ত চুমু’র দিকে। রাহুল গান্ধী সভাকক্ষ ত্যাগের আগে বিজেপির নেত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দিকে উড়ন্ত চুমু ছুড়েছেন কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। খবর এএনআই, আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিজেপির নারী সংসদ সদস্যরা স্পিকার ওম বিড়লার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। নারী সদস্যদের সম্মানহানি করার অভিযোগে বিদ্ধ করেছেন রাহুলকে। বুধবার বিতর্কে রাহুল বিদ্ধ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ‘ঘৃণা’র রাজনীতিকে। মোদিকে তিনি রাবণের সঙ্গে তুলনা করেন। অহংকারী বলে উল্লেখ করেন।
তাঁর বিরুদ্ধে মণিপুরে ভারতমাতাকে হত্যা করার অভিযোগ আনেন। রাহুলের পর ভাষণ দিতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তার বক্তৃতা চলাকালে রাহুল সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। স্মৃতির অভিযোগ, সভা ছেড়ে যাওয়ার আগে রাহুল নাকি তাদের দিকে উড়ন্ত চুমু বা ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিয়েছেন।
স্মৃতি ইরানি তার ভাষণে এই ঘটনার উল্লেখ করেন। রাহুলের ‘খানদান’ বা পরিবারের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁকে ‘নারীবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এমন আচরণ সংসদে আগে কখনো দেখা যায়নি। বিজেপির নারী সংসদ সদস্যরাও কেউ কেউ স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে ওই আচরণের প্রতিবাদ জানান।
তারা লিখিতভাবে এক অভিযোগপত্রও জমা দেন, যাতে বলা হয়েছে, স্মৃতি ইরানির ভাষণের সময় রাহুল তার লক্ষ্যে ‘অশোভন আচরণ’ করেছেন। এই আচরণ সভার মর্যাদা ও নারী সদস্যদের জন্য মর্যাদাহানিকর। এ জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। স্মৃতি ইরানি অবশ্য বলেননি, রাহুলের উড়ন্ত চুমুর লক্ষ্য ছিলেন তিনি।
রাহুলের উড়ন্ত চুমু সংসদ টিভির সম্প্রচারে অবশ্য ধরা পড়েনি। সভাকক্ষে উপস্থিত কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সভাকক্ষ ছেড়ে যাওয়ার সময় রাহুলের হাত থেকে কিছু কাগজপত্র পড়ে যায়। সেই সময় সরকার পক্ষের কোনো কোনো সদস্য হাসাহাসি করতে থাকেন। টিপ্পনী কাটতে থাকেন। সেই কাগজপত্র তোলার সময় তিনি ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে উড়ন্ত চুমু দেওয়ার মতো ভঙ্গি করেন।