পাকিস্তানে সময় মতো নির্বাচন হবে তো?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সভাপতি শাহবাজ শরিফ। ছবি : সংগৃহীত

আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙা হলো পাকিস্তানের পার্লামেন্ট, কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) বলছে, নতুন আদমশুমারি অনুযায়ী ভোটার তালিকা তৈরিতে অন্তত চার মাস সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা অবশ্যই বাড়াতে হবে। খবর বিবিসির।

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। একই সঙ্গে তিনি তিনদিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নাম দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও তার সরকারকে বলেছেন।

এমনিতেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। এর সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। গত ৫ আগস্ট দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান গ্রেপ্তার হয়েছেন। তোশাখানার মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড ঘোষণার পরপরই লাহোরের জামান পার্ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৮ আগস্ট ইমরান খানকে নির্বাচনে পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, নতুন আদমশুমারি শেষ হওয়ার পরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই শুমারি শেষ হতে প্রায় চার মাস সময় লাগবে। ফলে নির্বাচন আগামী বছর পর্যন্ত পিছিয়ে যেতে পারে। ‘জাতীয় ঐক্য’ ছাড়া পাকিস্তান এগিয়ে যাবে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনিও সম্প্রতি সাংবাদিকদের এই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নতুন নির্বাচন হয়তো এ বছর অনুষ্ঠিত হবে না।

অনেকেই মনে করেন, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জোট আত্মবিশ্বাসী নয়। এ কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। একদিকে রয়েছে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নেওয়ার পরও দেশে মুদ্রাস্ফীতির আঁচ কমছে না। ফলে এ অবস্থায় পিএমএল-এন জোটের জয়ে সম্ভাবনা ক্ষীণ।

পাকিস্তানে সমান্তরালভাবে সরকার পরিচালনার জন্য দুটি ব্যবস্থা আছে বলে উল্লেখ করেন পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর আফ্রাসিয়াব খাটাক। তার মতে, এখন অননুমোদিত ছায়া শক্তিটি চায় সংসদীয় প্রক্রিয়ার লাগাম হাতে নিতে। আফ্রাসিয়াব খাটাক বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বরাবরই ক্ষমতাশালী, কিন্তু তারা আরও ক্ষমতা চায় যাতে তাদের অননুমোদিত শাসনকে রাজনীতিবিদ, অ্যাকটিভিস্ট বা সাংবাদিক— কেউই চ্যালেঞ্জ করতে না পারেন।

শেয়ার করুন